বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১–এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে হাসান আলী ওরফে লাল, তার ভাই আবু নাঈম মিস্টার, একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আসমত আলী ওরফে লাল্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন এবং একই উপজেলার চর ভোটমারী এলাকার মুনছার আলীর ছেলে শফিউল ইসলাম সাদ্দাম।
লালমনিরহাট আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, “২০১৮ সালে ৩০ অক্টোবর বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গোপন বৈঠক করাকালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তুল, চারটি গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, গান পাউডার, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বেশ কিছু লিফলেট ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়”।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান।
রায়ে বলা হয়, মামলায় পাঁচটি ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। মামলায় হাজতবাস করা সময় দণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন আহমেদ রায়ের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।