বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের সহায়তাকারী সংস্থাগুলো বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির রেশনে নতুন করে ঘাটতির প্রেক্ষিতে আরও ক্ষুধা, অপরাধ এবং মৃত্যুর বিষয়ে সতর্ক করছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, সাড়ে ১২ কোটি ডলারের তহবিলের ঘাটতি ক্যাম্পে তাদের মাসিক খাদ্য ভাউচারের মূল্য ১ মার্চ থেকে মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে ১০ ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য করছে।
এটি ২০১৭ সালের পর থেকে ডব্লিউএফপি-র প্রথম বাজেট হ্রাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এবং হত্যার নৃশংস অভিযানের ফলে ৭ লক্ষের বেশি মূলত মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো কালপোলি এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটি রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ধ্বংসাত্মক আঘাত এবং ত্রাণ প্রদানকারী সম্প্রদায়ের জন্য সমান রকমের বিধ্বংসী আঘাত।” “অন্যান্য জটিল পরিষেবাগুলো ইতোমধ্যে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে রেশন হ্রাসের প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হবে, যদিও এই হ্রাসের পরিমাণ ২ ডলার।”
সেভ দ্য চিলড্রেনের নিজস্ব এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শরণার্থীদের কম নয় বরং আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন। অর্থায়নের ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপির মাসিক রেশন হ্রাসের সিদ্ধান্তকে এটি “অযৌক্তিক” বলে অভিহিত করেছে এবং “ক্ষুধার সংকট রোধে” দাতাদেরকে তাদের অগ্রাধিকারগুলোকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
শেখ আজিজুর রহমান এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।