অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের জলসা বন্ধের দাবিতে পুলিশ-মুসুল্লি সংঘর্ষ, আহত ৩০


বাংলাদেশের পঞ্চগড় শহরে একটি কাদিয়ানী সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে, পুলিশের সঙ্গে একদল মুসুল্লির সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) পঞ্চগড় পৌর এলাকায়, জুম’আ নামাজ শেষে এই সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাথর নিক্ষেপকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়েছে। এ ঘটনার খবর সংগ্রহ করার সময় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।

জুমার নামাজ শেষে পঞ্চগড় পৌর এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা পঞ্চগড় মূল শহরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা আহমদ নগর এলাকায় কাদিয়ানী জলসার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়।

পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে, মিছিলকারীরা নগরীর সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতির একপর্যায়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

এমন সহিংসতার ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মিছিলকারীরা আহমেদনগরে অবস্থিত কাদিয়ানিদের প্রায় ২০টি বাড়িতে লুট করে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও মিছিলকারীরা অবস্থান নিলে,গণমাধ্যমকর্মীদের চলাচলও ব্যাহত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি এবং অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যোগ দেয়। বিকাল ৫টা ৩৯ মিনিটে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুসুল্লিদের একাংশ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পঞ্চগড় থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, “পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ। জলসা নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চলছে।”

উল্লেখ্য বাংলাদেশের কিছু ইসলামী গোষ্ঠী, আহমদিয়া নামে পরিচিত কাদিয়ানিদের অমুসলিম হিসাবে বিবেচনা করে।তারা, আহমদিয়া মতের অনুসারীদের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দাবি করে আসছে।

XS
SM
MD
LG