বুধবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, নারী ও মেয়েদের অধিকারের বিরুদ্ধে তালিবানের জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধ তাদের বেশিরভাগকেই নিজ বাসভবনে “কার্যত অবরুদ্ধ” করেছে। যার ফলে আফগানিস্তান নারীদের জন্য বিশ্বের "সবচেয়ে নিপীড়নমূলক" দেশে পরিণত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া জাতিসংঘের বিবৃতি এমন সময় এলো যখন নারী মানবাধিকার কর্মীরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সড়কে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সমবেত হয়ে নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ওপর ক্ষমতাসীন তালিবানের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রায় ২ দশক যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর ২০২১ এর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসে।
তালিবানের চরমপন্থী নেতারা এরপর থেকে ইসলামিক আইন বা শরীয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যা বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে ৪ কোটি জনসংখ্যার দরিদ্র দক্ষিণ এশীয় দেশটির বেশিরভাগ নারী কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অধিকার হারিয়েছেন এবং মেয়েরা ষষ্ঠ শ্রেণীর পর আর পড়াশুনা করতে পারছে না।
জাতিসংঘ দাবি করেছে, আফগান নারীদের ভ্রমণ অথবা নিজ বাসগৃহের বাইরে কাজ করা এবং জনসম্মুখে আসার ক্ষেত্রে বড় আকারের বিধিনিষেধ রয়েছে। তাদেরকে একইসঙ্গে সকল পর্যায়ের সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম কাবুলের এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় দাবি করেন, তারা নারী শিক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে, কিন্তু নিষিদ্ধ করেনি। তিনি জানান, তালিবানের বিরুদ্ধে “কোনো কারণ ছাড়াই” এবং “অন্যায়ভাবে” নারীর শত্রু হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ না করে নাদিম আরও বলেন, “(তবে) আমরা কারও সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করতে পারি না। কারও উচিৎ নয় এমন দাবি করা, যা আমাদের ঐতিহ্য, রীতি ও ইসলাম ধর্মে অনুমোদিত নয়”।