অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যারা তালিবানকে অবমূল্যায়ন করছে, তারা 'মৃত্যুর যোগ্য' বললেন তালিবান মন্ত্রী


কাবুলে জাতীয় টিভি চ্যানেলের একটি লাইভ টেলিভিশন সম্প্রচারে বক্তৃতা করার সময় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম৷ ২২ ডিসেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)

একজন উচ্চ-পদস্থ তালিবান কর্মকর্তা এই সপ্তাহে আফগান বিচারকদের একটি সমাবেশে বলেছেন, গোষ্ঠীটি তালিবান বা এর নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিরোধিতাকে নিষিদ্ধ বলে বিবেচনা করে।

রবিবার কান্দাহারে তালিবানের বিচারক এবং ইসলামী আইনবিদদের এক স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে, তালিবানের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, নেদা মোহাম্মদ নাদিম বলেন, "যারা [তালিবানের] শাসনকে দুর্বল জ্ঞান করে, এবং কথা কিংবা, লেখনীর মধ্য দিয়ে কার্যত তা অবমূল্যায়ন করে, তারা বিদ্রোহী বলে বিবেচিত এবং মৃত্যুর যোগ্য।"

তিনি আরও বলেন, তালিবান তাদের সকলকে কঠিন হস্তে 'দমন' করবে, যারা তার মতে, "বিদেশিদের এজেন্ডার উপর ভিত্তি করে, আফগানিস্তানের জনগণের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।"

তবে, নাদিমের এই মন্তব্য তালিবানের মুখপাত্র, জাবিউল্লাহ মুজাহিদের আশ্বাসের সাথে পরস্পর বিরোধী। মুজাহিদ বলেছিলেন, তাদের সরকারের নীতি সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং "ধৈর্য সহকারে যে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি" তারা শুনবে এবং তার যথাযথ উত্তর দেবে।

তাহলে কে সঠিক, এবং ভিন্নমতের বিষয়ে তালিবানের সরকারী নীতি আসলে কী?

এটা এখনও বলা মুশকিল।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, কিছু বিশিষ্ট তালিবান নেতা গোষ্ঠীটির সর্বোচ্চ নেতা কর্তৃক জারি করা কিছু সরকারী নীতির সাথে প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

তালিবানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিরাজুদ্দিন হাক্কানি তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার "একচেটিয়া ক্ষমতার" সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই "পরিস্থিতি আর সহ্য করা যায় না।"

মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তালিবান তাদের সরকারী নীতি হিসাবে যাই বলুক, গোষ্ঠীটির কর্মকাণ্ড সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং সংখ্যালঘু ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করেছে।

কিন্তু তালিবান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

XS
SM
MD
LG