পাকিস্তানের এক আদালত বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার অভিযান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। এর মাধ্যমে লাহোরে তার বাড়ির সামনে সমর্থকদের সাথে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষের অবসান ঘটে।
এর আগে পুলিশ ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পূর্বের শহর লাহোরে তার বাসভবনের বাইরে তার শত শত সমর্থক পুলিশকে বাধা দেয়।
প্রধান শহরগুলোতে বিরোধী দলীয় ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তানি তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সমর্থকরা তাদের নেতার সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করে।
গত এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে তার সরকারের পতনের পর থেকে ৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং দুর্নীতির অভিযোগসহ কয়েক ডজন মামলায় আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন।
ইমরান খান সব অস্বীকার করে বলেছেন, এগুলো তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের “রাজনৈতিক নিপীড়নের” ফলাফল।
গত বছর পাকিস্তানের রাজধানীতে একটি জনসভায় একজন নারী বিচারককে হুমকি দেয়া সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব দিতে ইমরান খানকে শনিবার ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খান পাকিস্তানে আগাম সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার জন্য শরীফকে চাপ দিচ্ছেন। সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আগস্টে জাতীয় সংসদের বাধ্যতামূলক পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত নভেম্বরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের সময় ইমরান খান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং অজ্ঞাতনামা জেনারেলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন। সরকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।