অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বন্ধনের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করলো


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল (মাঝে) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ১৬ মার্চ, ২০২৩।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল (মাঝে) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ১৬ মার্চ, ২০২৩।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের শীর্ষ নেতারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি “নতুন অধ্যায়”কে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা একে অপরের দেশে নিয়মিত সফর চালু করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য এবং অন্যান্য উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে বিরল একটি শীর্ষ বৈঠকের সময় এই পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করা হয়েছিল। ইউনের জাপান সফর ১২ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের সে দেশে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে, জাপান দক্ষিণ কোরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে। তারা বলেছে, বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে প্রাসঙ্গিক একটি অভিযোগ তুলে নেবে।

এই পদক্ষেপগুলো কিশিদা এবং ইউনের ভবিষ্যৎ-কেন্দ্রিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার অংশ যা চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে।

যদিও তারা অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের ১৯১০-১৯৪৫ সালের নৃশংস ঔপনিবেশিক দখল সংক্রান্ত বিরোধের কারণে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল ছিল।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্টের প্রদত্ত একটি রায়ের পরে সম্পর্কগুলো কয়েক দশকের মধ্যে তাদের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, জাপানি কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার যে মানুষদেরকে জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ করা হয়েছিল সেসব ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, যদি জাপান জোরপূর্বক শ্রম ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য পারস্পরিক পদক্ষেপের প্রস্তাব না দেয় জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের উন্নতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে।

XS
SM
MD
LG