বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং পর্তুগাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সি (এআইসিইপি)। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সই করা এই সমঝোতা স্মারক, বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতির সব খাতে ব্যবসায়ী নেতাদের একত্রিত করবে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেবে।
অনলাইন কনফারেন্সে দুটি প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ঢাকায় ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান এবং লিসবনে এআইসিইপির চেয়ারম্যান ও সিইও লুইস কাস্ত্রো হেনরিকেস সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এই সমঝোতা স্মারক, এআইসিইপি এবং ইপিবি দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বলে উভয় পক্ষ উল্লেখ করেন।
লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস শুক্রবার (১৭ মার্চ) জানিয়েছে, এটি দুই সংস্থা নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক তথ্য এবং উদ্যোক্তা অভিজ্ঞতা বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মেলা এবং সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন এবং অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজনে একে অপরকে সমর্থন করবে।
হেনরিকস আশা প্রকাশ করেন যে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সংস্থা, ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরো এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “এটি কেবল শুরু। আমার প্রতিষ্ঠান এই কাঠামোর অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করতে প্রস্তুত। দুই দেশের মধ্যে এখনো চালু হয়নি, এমন একটি বিশাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। যার উপর দুই দেশ কাজ করতে পারে।”
আহসান বলেন, “বাংলাদেশ-পর্তুগাল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এটিই প্রথম ব্যবসায়িক সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।” তিনি আশা করেন যে এখন উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে; যা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে বাড়িয়ে তুলবে।
অংশীদারিত্বের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো(ইপিবি) এবং এজেন্সিয়া প্যারা ও ইনভেস্টিমেন্টো ই কমেরসিও এক্সটারনো ডি পর্তুগাল(এআইসিএপি)-কে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণ ১৬ শতকের শুরু থেকে যুক্ত রয়েছে।”