অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসি’র দায়িত্ব নিতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন


মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচট-এ ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রীদের ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩।
মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচট-এ ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রীদের ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে নির্যাতিত বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ। ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে বলা হয়, “রোহিঙ্গাদের, তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।”

শুক্রবার (১৭ মার্চ) মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচট-এ ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রীদের ৪৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার জন্য গঠিত ওআইসি অ্যাডহক কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে এ কথা বলেন।

বৈঠকে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার (১৮ মার্চ) জানিয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের অবস্থা এবং মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে সম্মেলনে। ড. মোমেন আন্তঃদেশীয় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়, বিশেষ করে অনিশ্চিত ভবিষ্যত সহ হাজার হাজার কিশোর ও যুবকদের ধ্বংস হওয়া এড়াতে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনের জন্য রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে মামলার গতি নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মামলার আইনি খরচে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ভার ভাগাভাগি করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, মিশর, পাকিস্তান ও গাম্বিয়া।

XS
SM
MD
LG