ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীদের সহায়তায় ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক দাতারা ৮৫ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে।
ইইউ এবং কানাডা যৌথভাবে দু'দিনের এই বৈঠকের আয়োজন করে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাস্তুচ্যুতি সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করতে, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তহবিল সংগ্রহ করা এই বৈঠকের লক্ষ্য।
ইউরোপীয় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিশনার জ্যানেজ লেনারসিক বলেন, “ভেনেজুয়েলার নাগরিক ও তাদের আশ্রয়দানকারীদের সঙ্গে আয়োজিত ২০২৩ সালের সলিডারিটি কনফারেন্সে প্রায় ৮১ কোটি ইউরো (৮৬ কোটি ডলার) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন এই প্রতিশ্রুতিতে আমি উৎসাহিত বোধ করছি।“
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, দারিদ্র্য ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে ভেনেজুয়েলার ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে গেছেন।
সম্মেলনে পাওয়া মূল প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিলো; যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ইইউ থেকে ৮ কোটি ডলার এবং কানাডা থেকে ৪.২ কোটি ডলার সহায়তার অঙ্গীকার ।
এর আগে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অভিবাসনকে রাজনীতিকরণ করার লক্ষ্যে 'বৈরী' সম্মেলন আয়োজনের অভিযোগ আনেন।
ভেনেজুয়েলার শরণার্থী ও অভিবাসী এবং তাদের আশ্রয়প্রদানকারী দেশ ও সম্প্রদায়ের সাথে সংহতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কারাকাস।দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ সম্মেলনকে " কেবল মাত্র কিছু অংশগ্রহণকারীর বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজ করার প্রদর্শনী" বলে অভিহিত করেছে।
ইউএনএইচসিআর এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন উভয়েই এই সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত। তারা ভেনেজুয়েলার শরণার্থী ও অভিবাসী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি ইইউ ও কানাডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ভেনেজুয়েলার শরণার্থীদের দুর্দশাকে বৃহত্তর আমেরিকায় মানুষের স্থানান্তরের বিভিন্ন মাত্রার মধ্যে একটি বলে অভিহিত করেন এবং এর জন্য মানবিক এবং উন্নয়ন সহায়তা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।