অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুপ্রিম কোর্ট বারের পুনর্নির্বাচন দাবি করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা


ঢাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাস্তায় বসে শ্লোগান দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত আইনজীবীরা। (ফাইল ছবি)
ঢাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাস্তায় বসে শ্লোগান দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত আইনজীবীরা। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশদাতা বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। একইসঙ্গে নতুন সাব-কমিটি গঠন করে আবার ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেললের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। বক্তব্য রাখেন সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এদিকে, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন একতরফা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির।

রবিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে আলাদা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি।”

এ সময় সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য তিনি বিএনপির গণতন্ত্র বিরোধী, ভোট বিরোধী, নির্বাচন বিমুখ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন সাব-কমিটি পুনর্গঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার জন্য জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা যখন প্রতিবাদ জানান, তখন আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে আওয়ামী সমর্থিত সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী ক্ষমতার দাপটে শতশত পুলিশ নিয়ে গত ১৫ মার্চ সমিতির অডিটরিয়ামে প্রবেশ করে এক অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “এ সময় পুলিশের আক্রমণে সমিতির সভাপতি প্রার্থী খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী আহত হন। নারী আইনজীবারাও পুলিশের আক্রমন নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। আর, পেশাগত দায়িত্ব পালনরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করা হয়।”

XS
SM
MD
LG