অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের অস্ত্র প্রকল্পে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত জানালো যুক্তরাষ্ট্র


রাজধানী তেহরানসহ ইরানের মানচিত্র
রাজধানী তেহরানসহ ইরানের মানচিত্র

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত আজ মঙ্গলবার ইরানের অস্ত্র প্রকল্পে সহায়তার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি রপ্তানির অভিযোগে ইরান ও তুরস্কের কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মাঝে ইরানের আমানাল্লাহ পায়দার ও তুরস্কের মুরাত বুকেই জ্বালানি সেল পরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কের মাধ্যমে পাঠিয়েছে এবং একইসঙ্গে তারা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের গবেষণা ও নির্মাণে ব্যবহৃত হতে পারে এরকম জৈব চিহ্নিতকরণ যন্ত্র জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়েছে।

সোমবার বুকেইকে ২৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ এর জুলাইতে তাকে স্পেন থেকে প্রত্যাবাসন করে যুক্তরাষ্ট্রের আনা হলে তিনি ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে আনা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মেনে নেন। পায়দার এখনও পলাতক আছেন বলে জানিয়েছে বিচার বিভাগ।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা বুকেই ও পায়দারকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।

মঙ্গলবার বিচার বিভাগ আরও জানায়, ইরানের আগশার মাহমুদী ও বাহরাম মাহমুদী মাহমুদ আলিলৌ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাহিন গোলশানি তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে “হাই-স্পিড ক্যামেরা” জোগাড়ের চেষ্টা করে, “যেটি পারমাণবিক ও ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ব্যবহার হতে পারে”। এছাড়াও তারা এফ-ফাইভ যুদ্ধবিমানের নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার অ্যাসেম্বলি ও ভূতাত্ত্বিক সেন্সর ব্যবস্থাও জোগাড়ের চেষ্টা করে। এই ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার ঘোষণা আসে।

বিচার বিভাগ জানায়, উল্লেখিত ৩ অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক আছেন।

যুক্তরাষ্টের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডেভিড সান্ডবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, “মুরাত বুকেই ও আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইরানে প্রযুক্তি ও পণ্য রপ্তানির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনার ফলে যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি আইন ও প্রযোজ্য বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের চেষ্টা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সংকল্পের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং যারা এসব আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি আনবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে জোরদার তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবো। এই ষড়যন্ত্র বানচাল করতে ও অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞ”।

XS
SM
MD
LG