অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক নির্বাচন বিলম্বে; পাকিস্তান সমালোচনার মুখে


ফাইলঃ ২০১৯সালের ২০ জুলাই, পাকিস্তানের খাইবার জেলার জামরুদ শহরের প্রাদেশিক নির্বাচনে একজন পাকিস্তানি উপজাতি ভোট দিচ্ছেন।
ফাইলঃ ২০১৯সালের ২০ জুলাই, পাকিস্তানের খাইবার জেলার জামরুদ শহরের প্রাদেশিক নির্বাচনে একজন পাকিস্তানি উপজাতি ভোট দিচ্ছেন।

পাকিস্তানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন বিলম্বিত করার পরে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকট আরও খারাপ হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদরা সতর্ক করছেন যে ঐ পদক্ষেপটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশটিকে সাংবিধানিক সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ ও নিরাপত্তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানানোর পর জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বুধবার রাতে ঘোষণা করেছে যে তারা পাঞ্জাব প্রদেশের আইনসভার নির্বাচন ৩০ এপ্রিল থেকে ৮ অক্টোবরে সরিয়ে নিচ্ছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আইনসভা ও সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। তবে জানুয়ারি মাসে উভয়ই ভেঙে দেওয়া হয় দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আরও আগে করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়ায় লক্ষ্যে

ইমরান খান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পেছানোর ঘোষণাকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এক টুইট বার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ আজ যদি এটি মেনে নেওয়া হয় তাহলে তা পাকিস্তানে আইনের শাসনের অবসান ঘটাবে”।

" টুইটারে ইমরান খান লিখেছেন "আমরা আমাদের দুটি প্রাদেশিক আইনসভা ভেঙে দিয়েছি এই আশায় যে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে যা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। সংবিধান ও আইনের শাসন লঙ্ঘন করে একদল ফ্যাসিবাদীকে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে দেওয়ার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিইনি”।

কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী আজম নাজির তারার বৃহস্পতিবার নির্বাচন অক্টোবর মাস পর্যন্ত পিছানোর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন যখন জাতীয় সংসদের বাধ্যতামূলক মেয়াদ শেষ হবে পাঁচ বছরে।

ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তারার বলেন, পাকিস্তানে 'ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট' এবং 'নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির' প্রেক্ষাপটে সরকার ভোটে অর্থায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। তিনি যুক্তি দেন যে জাতীয় এবং প্রাদেশিক উভয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, যেমনটি ঐতিহ্যগত ভাবে দেশে হয়ে আসছে।

ইমরান খানের দল বলেছে, পরাজয়ের ভয়ে সরকার নির্বাচনে যেতে চাইছে না।

XS
SM
MD
LG