অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এয়ারলাইন্স এসোসিয়েশন পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেঃ অবরুদ্ধ তহবিলে ২৯ কোটি ডলার


পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ইসলামাবাদের বেনজির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬। ফাইল ছবি।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ইসলামাবাদের বেনজির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬। ফাইল ছবি।

বুধবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে যে, বিদেশী বিমান সংস্থাগুলো নগদ অর্থ প্রদানের বিদ্যমান অবরোধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে সংকটে থাকা দেশটিতে কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে।

গ্লোবাল এয়ারলাইন্সের ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশী এয়ারলাইনগুলোর পাকিস্তানের কাছে “প্রত্যাবর্তনযোগ্য তহবিল” হিসেবে প্রায় ২৯ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে, যা নাইজেরিয়ার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি প্রায় ৪৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা চার সপ্তাহের আমদানি ব্যয় কোনমতে মেটাতে পারে । এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে ডলার পাঠানো কঠিন করে তুলেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার ২০১৯ সালে সম্মত হওয়া ৬৫০ কোটি ডলারের বেইলআউট প্রোগ্রাম থেকে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় অর্থ বিতরণ শুরু করতে রাজি করার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনা করছে। আইএমএফ-এর নভেম্বরে আরও ১১০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা যে আর্থিক সংস্কারে পাকিস্তান সম্মত হয়েছিল তার অগ্রগতির অভাবের কথা উল্লেখ করে সে অর্থ দেয়নি।

ইসলামাবাদকে তার বৈদেশিক ঋণের বাধ্যবাধকতাগুলোর খেলাপি এড়াতে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য বাহ্যিক অর্থায়নের উপায়গুলো অবমুক্ত করার জন্য আইএমএফ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ।

এই দরিদ্র দেশটি আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল; যেমন ওষুধ এবং জটিল অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের আমদানি। তবে চিকিৎসা সরবরাহ চেইন ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে।


XS
SM
MD
LG