বাংলাদেশে এলপিজি’র দাম কেজিতে কমলো ২০.৩৭ টাকা

রবিবার (২ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বিইআরসি কার্যালয়ে সংস্থাটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন তার প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই হারে কমবে। ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

একই প্রেস ব্রিফিংয়ের ফাঁকে ডিলার এবং পরিবেশকদের প্রতিনিধি সংগঠন ‘বাংলাদেশ এলপি গ্যাস ট্রেডার্স কো-অপারেটিভ লিমিটেড’-এর সভাপতি এমডি সেলিম খান অভিযোগ করেছেন যে বিইআরসি নতুন মূল্য নির্ধারণ করলেও, এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এলওএবি) মৌখিকভাবে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, “তাই একজন খুচরা ব্যবসায়ীকে তার পরিবহন ও স্টাফ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডার নির্ধারিত দামের চেয়ে কমপক্ষে ১২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।”

বিটিআরসি’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, “কমিশন মূল্য নির্ধারণের অসঙ্গতিগুলো দূর করার জন্য সকল অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। বিইআরসি জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বাজারে অসঙ্গতি পরীক্ষা করতে এবং দামের হেরফের রোধ করতে বলবে।”

বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপি’র (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দামের বড় ধরনের পতন হয়েছে। গত মাসে সৌদি সিপি অনুসারে এলপিজির দাম ছিলো প্রতি মেট্রিক টন ৭৩৩ ডলার এবং চলতি মাসের সিপি অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টন ৫৪৮ দশমিক ৫০ নির্ধারণ করা হয়েছিলো।বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপি’র ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।

বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) -এর দাম প্রতি লিটারে ১১ টাকা ৩২ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ২২ পয়সার বদলে ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা (ভ্যাটসহ) নির্ধারণ করা হয়েছে।তবে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে পাঁচ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিলোৈ এক হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।