বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ, অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী ও রপ্তানি গন্তব্য।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিনামূল্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। এমনকি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পরে তারা আমাদের সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছে। অন্য দেশও আমাদের সাহায্য করেছে। তাঁর (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন) সঙ্গে দেখা হলে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব”।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “অবশ্যই, আমরা খুব ভাগ্যবান যে পরপর তিনবার আমন্ত্রণ পেয়েছি”।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল মোমেন ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হবে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ৩০ লাখ মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সে কারণে আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই”।
তিনি বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যুক্তরাষ্ট্রও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমাদের এ ক্ষেত্রে দ্বিমত নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি”।
আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “অনেক দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো তা করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছি। আমরা তাদেরকে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে জড়িত করছি”।
