অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর ইরাকি বিমানবন্দরের ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক


যাত্রীরা ইরাকি কুর্দি শহর সুলেইমানিয়ার বিমানবন্দরে টারমাকে একটি বিমানে আরোহণ করছেন। ২০ মার্চ, ২০১৮। ফাইল ছবি।

বুধবার শীর্ষ একজন তুর্কি কর্মকর্তা জঙ্গি কার্যকলাপের কথিত বৃদ্ধি বিমান উড্ডয়নের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে বলেন, তুরস্ক কুর্দি-শাসিত উত্তর ইরাকের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ এবং সেখান থেকে বিমান উড্ডয়নের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র তানজু বিলজিক বলেন, সুলেইমানিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণের জন্য সোমবার আকাশপথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

একটি লিখিত বিবৃতিতে বিলজিক বলেছে, বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত সুলেইমানিয়াহ শহরে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-এর কার্যকলাপের কথিত বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া ছিল। এর মধ্যে বিমানবন্দরে “অনুপ্রবেশ”-ও অন্তর্ভুক্ত।

উত্তর ইরাকে দুটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত আসে। ওই দুর্ঘটনায় তাতে আরোহী কুর্দি জঙ্গিরা নিহত হয়। এই ঘটনাটি হেলিকপ্টারগুলোর পিকেকে’র দখলে থাকার দাবিকে আরও জোরদার করে, যা তুর্কি কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ করেছে।

উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী পরে বলেছে, তারা সোলেমানিয়ার একটি ফ্লাইটে খারাপ আবহাওয়ার সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় একজন কমান্ডারসহ ৯ জন যোদ্ধাকে হারিয়েছে। সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠীর মতে, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে “দক্ষতার বিনিময়” এর অংশ হিসেবে ইরাকে থাকা এলিট যোদ্ধাদের মধ্যে এই নয়জন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পিকেকে ১৯৮০ এর দশক থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়েছে। আঙ্কারা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। পিকেকে’র সদস্যরা উত্তর ইরাকে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছে এবং তারা প্রায়ই এই অঞ্চলে তুরস্কের হামলার শিকার হয়।

XS
SM
MD
LG