বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে কোনো দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়। শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চলমান বিশেষ অধিবেশনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ।
হাছান মাহমুদ বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো একটি দল। কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়।”
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের (২০২৪) জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র ও সংসদ সচল রাখতে এবং সংসদীয় গণতন্ত্র সুসংহত করতে, কোনো দল নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, যথাসময়ে নির্বাচন হওয়া উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সব দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়া সরকারের দায়িত্ব নয়।” বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন “২০১৪ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি ৫০০ ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছিলো; মানুষ হত্যা করেছিলো। সংসদ নির্বাচন হয়েছে। সংসদ চলতে থাকে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আজো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে সংসদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংসদের অগ্রগতি ও সংসদীয় গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করতে পদত্যাগ করলেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা দেশের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করতে পদত্যাগ করেছেন।”
