অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অভিযান


২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরে মোতায়েন আর্লেই বার্ক-ক্লাস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিউস , দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অজ্ঞাত স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। (রয়টার্সের মাধ্যমে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর হ্যান্ডআউট)
২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরে মোতায়েন আর্লেই বার্ক-ক্লাস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিউস , দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অজ্ঞাত স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। (রয়টার্সের মাধ্যমে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর হ্যান্ডআউট)

চীনের দাবি করা একটি দ্বীপমালার কাছে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধ জাহাজ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই দ্বীপমালা-কে ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং আরো কিছু দেশ নিজেদের বলে দাবি করে। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজের অভিযাত্রা তখনই শুরু হলো, যখন চীন স্বশাসিত তাইওয়ানের চারপাশে তৃতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, গাইডেড-মিসাইল বহনকারী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিউস ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের মধ্যবর্তী কয়েক ডজন দ্বীপের একটি সারির মধ্যে অবস্থিত স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের একটি ডুবো চরের কাছে, "সমুদ্রের বৈধ ব্যবহার" সমুন্নত রাখতে নেভিগেশনের স্বাধীন নৌ চলাচল (ফ্রিডম অফ নেভিগেশন) অভিযান পরিচালনা করেছে।

নৌবাহিনী বলেছে, ইউএসএস মিলিউস প্রমাণ করেছে যে, ভাটার সময় জেগে ওঠা, শৈলশ্রেণি স্বাভাবিক সময়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আঞ্চলিক সমুদ্রের অন্তর্ভুক্ত নয়।

চীনের “অতিরিক্ত সমুদ্রসীমা দাবির” প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী নিয়মিত দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে অভিযাত্রা পরিচালনা করে।

চীন স্প্র্যাটলি দ্বীপপূঞ্জের প্রবাল প্রাচীরের ওপর হাজার হাজার হেক্টর এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে। সোমবার তারা দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র "অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে"।

বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের প্রতিটি অঞ্চলে নৌ চলাচল সীমাবদ্ধ করতে চায় এবং ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম থেকে আসা জাহাজগুলোর বৈধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়। চীন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম স্প্র্যাটলি দ্বীপমালাকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে।

গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর, সোমবার তৃতীয় দিনের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে চীন। এ সময় চীন তাইওয়ানের দিকে প্রায় এক ডজন যুদ্ধজাহাজ ও ৭০টি যুদ্ধবিমান পাঠায়।

তাইওয়ান সরকার বলেছে, চীনের পদক্ষেপের জবাবে তারা তাদের নৌবাহিনী ও স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের কড়া সমালোচনা করেছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বলেছে, তারা ২০২৭ সালের মধ্যে গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় । এজন্য, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতেও প্রস্তুত তারা।

পেন্টাগনে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জনসংযোগ বিষয়ক সহকারী ক্রিস মেগার সোমবার সংবাদদাতাদের বলেন, তাইওয়ানের নেতার ক্যালিফোর্নিয়া সফরকে বেইজিং-এর পক্ষ থেকে “অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর অজুহাতে” পরিণত করা উচিত নয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত রেখেছে। তবে, এখন পর্যন্ত বেইজিং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান, জেনারেল মার্ক মিলির সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

XS
SM
MD
LG