অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানীদের জেরুজালেম দিবস পালন


১৪ এপ্রিল ইরানের তেহরানে জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে
১৪ এপ্রিল ইরানের তেহরানে জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে

জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানী তেহরানে হাজার হাজার ইরানি বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ “আমেরিকা নিপাত যাক এবং 'ইসরাইল নিপাত যাক” বলে স্লোগান দেয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঐ সমাবেশে অংশ নেন। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে আল-কুদস দিবস নামে পরিচিত সমাবেশগুলো সাধারণত মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

জেরুজালেম আরবি নাম আল-কুদস এবং ঐ শহরটি ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং শহরটিকে তার রাজধানীর সাথে সংযুক্ত করে। ওদিকে ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলকে ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।

জেরুজালেম ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান যেখানে আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত। অন্যদিকে ইহুদিদের কাছে জেরুজালেমের এই স্থানটি টেম্পল মাউন্ট হিসাবে ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে যে রাইসি বলেন, শুক্রবারের সমাবেশগুলো থেকে এটাই প্রতিমান যে আল-কুদসের মুক্তি প্রত্যাশার চেয়েও খুব নিকটে। এতে আরও মনে হয় , ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো একা নয়। তিনি ইসরাইল এবং উপসাগরীয় কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা এই অঞ্চল বা ইসরাইলের জন্য নিরাপত্তা বয়ে আনবে না।

ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ কালিবাফ বিক্ষোভকারীদের বলেন, ইসরাইল ঐ অঞ্চলের সমস্যার 'মূল' এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরাইলের পরিকল্পনায় বাধা দিচ্ছে।

কয়েক মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কেঁপে ওঠার পর এটিই ছিল আল-কুদস দিবসের প্রথম সমাবেশ । ইরানের কঠোর ইসলামিক পোশাক নীতি বা কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি-ইরানি নারীর মৃত্যুর পর ক্রমাগত বিক্ষোভ চলে।

শুক্রবার তেহরানের বিক্ষোভকারীরা ১০টি ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে এসে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিছিল করে এবং শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের মধ্যদিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে।

XS
SM
MD
LG