অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ নিয়ে তৈরি হল দূরদর্শনের তথ্যচিত্র 


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায়ই দাবি করে থাকেন বিগত নয় বছরে তাঁর সরকার অমূল্য এক সম্পদ দেশকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তাহল ‘স্বাভিমান’অর্থাৎ দেশের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধের চেতনা। বিদেশি শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে বিনষ্ট পীঠস্থানের পুনরুদ্ধার, সংগ্রাম, সাফল্যের ইতিহাস বিজড়িত স্থানের সংস্কার, সেনার বীরত্বকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ইত্যাদি নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের অংশ। সরকারি সূত্রের খবর, এই সমস্ত ক্ষেত্রে মোদী সরকারের এ পর্যন্ত গৃহীত কর্মসূচি, প্রকল্পগুলি নিয়েই দূরদর্শন তৈরি করেছে এক তথ্যচিত্র –‘ধরোহর ভারত কী পুনরুত্থান কী কাহানি’ অর্থাৎ ভারতের ঐতিহ্য পুনরুত্থানের কাহিনি।

আগামী শুক্রবার ২১ এপ্রিল দুই এপিসোডের ৩০ মিনিটের তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনীর সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দেখানো হবে রাত ৮’টায়। তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ দূরদর্শন প্রচার করা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের সৈন্যরা মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ শুধু কথায় পরিমাপ করা যায় না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এর মহিমাকে জীবন্ত করে তুলতে হবে।”

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক সূ্ত্রের খবর, মোদীর হাত ধরে ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের তালিকায় স্থান পেয়েছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, কাশী বিশ্বনাথ ধাম, সোমনাথ ধাম এবং কেদারনাথ ধাম এবং কর্তারপুর সাহিবের মতো উপাসনা ও আধ্যাত্মিক স্থানগুলির সংস্কার, জালিয়ানওয়াল্লাবাগের মতো স্বাধীনতার লড়াইয়ের স্মরণীয় স্থানগুলিকে সাজিয়ে তোলা, ইতিহাস সংরক্ষণ, সেলুলার জেল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান উদযাপন, স্বাধীনতার বিপ্লবীদের নামে আন্দামান ও নিকোবরের দ্বীপগুলির নাম রাখা, দিল্লিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি স্থাপন ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ সরকারের কর্মসূচি নয়। তবে মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রীই। আগামী বছর জানুয়ারিতে তাঁরই মন্দির উদ্বোধনের কথা।

উল্লেখ করা যেতে পারে বিবিসি নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে সম্প্রতি চরম বিতর্ক তৈরি হয়। এই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে ভারতে গুজরাট রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল তাকে ফোকাস করা হয়। নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই তথ্যচিত্রটির কারণে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে, পরবর্তীতে তথ্যচিত্রটি ভারতে সম্প্রচার বন্ধ করা হয়।

XS
SM
MD
LG