শনিবার ২২ এপ্রিল সকালেই মা সনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে ২২ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলোতে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ঈদের দিনেই নিজের সাংসদ হিসাবে পাওয়া তাঁর বাংলো সরকারিভাবে ছেড়ে দিলেন তিনি। নিজের হাতেই বাংলোর গেটে চাবি দেন কংগ্রেস নেতা। তারপর সেই চাবি লোকসভার হাউজিং কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেন ওয়ানাডের সাংসদ।
২০০৫ সাল থেকে এই বাংলোই ঠিকানা ছিল কংগ্রেস সাংসদের। কিন্তু মোদী পদবি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়। সাংসদ না হওয়ায় বাংলো ছাড়ার নোটিশ পাঠানো হয়। সেই মতো বাংলো খালি করার কাজ শুরু করেন রাহুল। বাংলো ছাড়ার আগে এতদিন তাঁর বাংলোয় যাঁরা কাজ করতেন তাঁদের সঙ্গে করমর্দনও করতে দেখা যায় রাহুলকে।
গত ১৪ এপ্রিল ২২ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলো খালি করে দেন রাহুল। দু’টি ট্রাকে করে নিজের মালপত্র সরিয়ে নিয়ে যান তিনি। তারপর শনিবার দুপুরে সরকারিভাবে বাংলো ছেড়ে দিলেন। বাংলো ছেড়ে মায়ের সঙ্গেই চলে যান নিজের নতুন ঠিকানায়।
রাহুল গান্ধী এখন ১০ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাংলোয় থাকবেন। আপাতত সাংসদপদ খারিজ হওয়া রাহুল গান্ধীর ঠিকানা এটাই। তবে রাহুলকে আরও অনেকেই বাংলো অফার করেছিলেন। কংগ্রেসের সেনা দল যেমন রাহুলের জন্য বাংলোর ব্যবস্থা করেছিলেন, তেমনই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গেও নিজের বাংলোতে থাকতে বলেছিলেন। তবে রাহুল মায়ের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন।