বাংলাদেশের জন্য ৪৭০০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকায় আসছে।সোমবার (২৪ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে বাংলাদেশ সফর করবে আইএমএফ দল। এ সময় আইএমএফ দল, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফ-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ তিন থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, সফরকালে সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ টিমের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে।
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত ৪৭০০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করা হবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ-এর এই ঋণের আরো ছয় কিস্তি বাকি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি ধাপ বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। এ কারণে, আইএমএফ’র একটি দল আসছে দ্বিতীয় ধাপ বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে।
সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে, একটি আইএমএফ মিশন বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসে। যেহেতু ঋণ কার্যক্রম চলছে, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে। আইএমএফ-এর ৪৭০০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
আইএমএফ এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩৩০০ কোটি ডলার এবং রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি ফর বাংলাদেশ’র অধীনে প্রায় ১৪০০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফ থেকে ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি পায়।
