একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে একটি অচলাবস্থা পাকিস্তানকে রাজনৈতিক এবং বিচারিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা রাজনৈতিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর দীর্ঘস্থায়ী হস্তক্ষেপকে এর জন্য দায়ী করেছেন।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪মে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে একটি বিরোধী দল সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন ১৩ দলীয় ক্ষমতাসীন জোট আদালতের এই রায় মানতে অস্বীকার করে।
সুপ্রিম কোর্টও তার জায়গা থেকে পিছু হটেনি, এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিরাপত্তার কারণে পূর্বোক্ত আদেশ স্থগিত করার অনুরোধ করার পরেও সুপ্রিম কোর্ট তা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেছে।
অমান্য করার আরও এক দৃষ্টান্তস্বরূপ সংসদ প্র্যাক্টিস এন্ড প্রসিডিউর বিল (২০২৩) নামে একটি প্রস্তাব পাস করেছে যা প্রধান বিচারপতির নিজস্ব উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থের ইস্যু নেয়ার ক্ষমতাকে সীমিত করবে- এই পদ্ধতিটি সুয়োমটো হিসেবে পরিচিত।
.
‘এর জবাবে ,প্রধান বিচারপতি বিলটি পর্যালোচনা করার জন্য আদালতের ১৫ জন বিচারকের মধ্য থেকে নিজেকে এবং অনেক সমমনা সহকর্মীর সমন্বয়ে আটজন বিচারকের একটি প্যানেল গঠন করেন।
এরপর বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে।
গত এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী পদে চার বছরের কম সময় থাকার পর তাকে অপসারণ করায় সংকট শুরু হয়। এরপর ইমরান খান আগাম নির্বাচনের জন্য দেশব্যাপী প্রচারণা শুরু করেন। শরিফের সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, এই বছরের আগস্টে সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবে।