বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে, আওয়ামী লীগ যে কাউকে যোগ্য জবাব দেবে।”
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন যাতে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে।” তবে, বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি নেই বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, “অশুভ রাজনীতির হাত থেকে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।”
জনগণকে তাদের এই শান্তি আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৯৭৫ সালে, তখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়।”
তিনি বলেন, “একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এই তিন ঘটনা, একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত। আমাদের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।”
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং তাদের পরাজিত করার জন্য, জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক।
