বিবিসি চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন। নিরপেক্ষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ১০ লাখ ডলার ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার কথা; যা ছিলো একটি সম্ভাব্য স্বার্থ-দ্বন্দ্ব, তা প্রকাশ করেননি। আর, বিষয়টি প্রকাশ না করে তিনি সরকারি পদের নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। এর পরই পদত্যাগ করলেন রিচার্ড শার্প ।
ব্রিটেনের সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চ মাত্রায় রাজনৈতিক যাচাই-বাছাই শুরুর সময় তিনি পদত্যাগ করলেন। উচ্চ বেতনভুক্ত উপস্থাপক গ্যারি লেনেকারের সাথে নিরপেক্ষতা নিয়ে একটি বড় ধরণের বিরোধ গত মাসে ব্রিটেনে সংবাদ শিরোনাম হয়।
প্রাক্তন গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকার শার্প ২০২১ সালে বিবিসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তিনি ফেব্রুয়ারি থেকেই চাপের মধ্যে ছিলেন। সে সময় আইনপ্রণেতাদের একটি কমিটি বলেছিলো, তিনি ঋণের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা ঘোষণা করতে ব্যর্থতায় বড় রকমের ভুল করেছেন।
সরকারি পদে নিয়োগের বিষয়ে নজরদারি সংস্থা এই তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকার শার্পকে কী পদ্ধতিতে নির্বাচিত করেছিলো, তদন্তে তা যাচাই করা হয়।
চেয়ারম্যান হিসেবে শার্প-এর নাম ঘোষিত হওয়ার আগে, জনসনের জন্য ১০ লাখ ডলার ঋণ পেতে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তার ভূমিকার কথা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছিলেন কি না, তা-এই তদন্তে বিশেষভাবে দেখা হয়।
বিরোধী লেবার পার্টির সংস্কৃতি বিষয়ক মুখপাত্র লুসি পাওয়েল বলেন, এই বিধি লঙ্ঘন “বিবিসি-র সুনামের অবর্ণনীয় ক্ষতি করেছে এবং রক্ষণশীলদের পক্ষপাতমূলক নিয়োগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।”
তদন্তকারী অ্যান্ড্রু হেপিনস্টল বলেন, শুধুমাত্র পরিচয় প্রদানের প্রচেষ্টা ছাড়া, শার্প জনসনের আর্থিক বিষয়ের আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে তিনি খুশি।