অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে বেকারত্ব এপ্রিলে পৌঁছল গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ


ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মানেসার শিল্প এলাকায় কাজের অপেক্ষায় এক দম্পতি। এখানে শত শত শ্রমিক প্রতিদিন ভোরবেলা জড়ো হয় কাজ পাবার আশায়। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং বৈষম্যকে আরও খারাপ করছে। ৪ আগস্ট, ২০২২।(এপি ছবি/ভূমিকা সরস্বতী)
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মানেসার শিল্প এলাকায় কাজের অপেক্ষায় এক দম্পতি। এখানে শত শত শ্রমিক প্রতিদিন ভোরবেলা জড়ো হয় কাজ পাবার আশায়। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং বৈষম্যকে আরও খারাপ করছে। ৪ আগস্ট, ২০২২।(এপি ছবি/ভূমিকা সরস্বতী)

সোমবার ১লা মে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আগামী পাঁচ বছর ভারতে কাজের বাজারে মন্দা চলবে। যত মানুষ কাজ পাবেন তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ কাজ হারাবেন। মঙ্গলবার ফের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট জানাল, এপ্রিলে ভারতে বেকারত্ব গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে।

গত অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে মার্চে বেকারত্বের হার ছিল সর্বাধিক। কিন্তু নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ এপ্রিলে আরও ভয়ানক জায়গায় পৌঁছেছে বেকারত্ব।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকোনমি তাদের সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করেছে, গত মার্চে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। এপ্রিলে সেটাই লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৮.১১ শতাংশ।

এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে বেকারত্ব তীব্র হয়েছে। মার্চে ছিল ৮.৫১ শতাংশ। এপ্রিলে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। তবে গ্রামীণ এলাকায় মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সামান্য কমেছে বেকারত্বের হার। গ্রামীণ এলাকায় মার্চে বেকারত্ব ছিল ৭.৪৭ শতাংশ। সেটা এপ্রিলে হয়েছে ৭.৩৪ শতাংশ।

২০২২-এর শেষ দিক থেকেই মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছিল অর্থনৈতিক সমীক্ষা সংস্থাগুলি। গত ডিসেম্বরে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের বার্ষিক বৈঠকে এও বলা হয়েছিল, এবারের মন্দার অভিঘাত হবে সুদূরপ্রসারী। কারণ কোভিড পরবর্তী ভাঙা অর্থনীতির এই মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু দশায় নিয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে মাস চারেক আগে অর্থনীতিবিদরা এও বলেছিলেন, প্রাথমিক পূর্বাভাস হিসাবে বেকারত্ব বৃদ্ধি, কাজ হারানোর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকার ছবি দেখা যাবে দেশে দেশে। ফলে এপ্রিলে ভারতে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার সেই অতল অন্ধকারকে ইঙ্গিত করছে বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে, মার্চের তুলনায় এপ্রিলে শ্রমভিত্তিক শিল্পে যোগদানের সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কায়িক শ্রমের কাজে যোগ দিয়েছেন এপ্রিলে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই যাঁরা শ্রমভিত্তিক কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই নিরুপায় হয়ে, পেট চালানোর তাগিদে।

XS
SM
MD
LG