বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একটি যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষর করেছে। শুক্রবার (৫ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, বিমান নির্মাতা এয়ারবাস থেকে, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের বিমান ক্রয় এবং বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য, এভিয়েশন পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ ও যু্ক্তরাজ্যের মধ্যে এই যৌথ বিবৃতি সই করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে সেদেশের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন বিবৃতিতে সই করেন। যৌথ বিবৃতিতে সইয়ের পর প্রতিক্রিয়ার এক টু্ইট বার্তায় যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত শক্তিশালীকরণে যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে, একটি কার্যকর এভিয়েশন পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি উভয় দেশেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এই উদ্যোগের ফলে, বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ এয়ারবাসের অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ়তর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এয়ারবাস থেকে বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে, ইউকে এক্সপোর্ট ফাইনান্স বাংলাদেশকে সহজ শর্তে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সুবিধা দেবে। বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের সম্প্রসারণ ও একে বহুমাত্রিক করে গড়ে তোলতে, এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং যাত্রী পরিবহন ও কার্গো ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানের সক্ষমতাকে অনেক উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে পারে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করে।
বিবৃতি সই করার পর সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস এবং বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে দীর্ঘ ও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি তথা ইইউ’র বর্তমান সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হতে পারে।