অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় প্রত্যাবাসন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ৬ মে, ২০২৩।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ৬ মে, ২০২৩।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন যে চীন, একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’। তিনি বলেন, “এ সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হলো প্রত্যাবাসন।”

শনিবার (৬ মে) রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে চীনের রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। কসমস ফাউন্ডেশন এই সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে; এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “স্থানীয় এক বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন, অনেক লোক মুখে মুখে সাহায্যের কথা বলে, কেবল চীন প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। পুনর্বাসনের প্রস্তুতি দেখতে, শুক্রবার (৫ মে) ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ১৫টি গ্রাম ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়।” তিনি বলেন, “চীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন।”

চীনের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আতিথেয়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে। কম আগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক দাতাদের কম অনুদানের কারণে রোহিঙ্গারা খুব খারাপ পরিস্থিতিতে থাকছেন। এ সংকটের একমাত্র উপায় হলো প্রত্যাবাসন।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের একটি হিসেবে, চীন মধ্যস্থতাকারী ও সহায়তাকারীর ভূমিকা পালনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। আশা করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন হবে। আর, এটি একটি টেকসই প্রক্রিয়া হবে এবং হওয়া উচিত।”

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, “বাংলাদেশ ও চীন সবসময়ই মূল স্বার্থের ইস্যুতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।আমরা উভয়েই শান্তির জন্য স্বাধীন কূটনীতি অনুসরণ করি। আমরা সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় একে অপরকে সমর্থন করি।"

XS
SM
MD
LG