অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


যুক্তরাজ্যের ক্লারিজ হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। ৬ মে, ২০২৩।
যুক্তরাজ্যের ক্লারিজ হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। ৬ মে, ২০২৩।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো বলেছেন, তার দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি শনিবার (৬ মে) তার সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় ক্লেভারলি বলেন, “ব্রিটেন আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সরকারি সফরে যুক্তরাজ্য রয়েছেন। জেমস ক্লেভারলি ক্লারিজ হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশে এ বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান যে শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সকলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

ড. মোমেন জানান যে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আমার দল সবসময় দেশে গণতন্ত্র বজায় রেখেছে। আমরা দেশের গণতন্ত্র-কে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছি। আমার সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা চাই।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছে।” ভোট কারচুপি বন্ধ করার লক্ষ্যে, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী; জানান আব্দুল মোমেন।

তিনি আরো জানান যে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র তৈরি করেছি। বিপরীতে বিএনপি তাদের শাসনামলে ভোট কারচুপির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করেছিলো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আমরা নির্বাচন কমিশন (ইসি)-কে যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী করে তুলেছি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে তারা ওয়েস্টমিনস্টারের মতো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সংসদে প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চালু হয়েছে।

মোমেন বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাদ ইস্যুর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকারপ্রশংসা করেন।

জেমস ক্লেভারলি বলেন, “রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে।” ড. মোমেন বলেন, ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে এবং তা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ক্লেভারলি।

XS
SM
MD
LG