শেখ হাসিনা বলেন, “তারা (বিএনপি-জামায়াত) শুধু দেশ ধ্বংস করবে, আর কিছু নয়। তাই বিএনপি-জামায়াত যেন আবার ক্ষমতায় না আসে, তা নিশ্চিত করুন।” তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট খুনি, চোর ও দুর্নীতিবাজ-দের দল মাত্র। সুতরাং জনগণকে সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের পক্ষে ভোট দেয়া উচিত নয়।”
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “ইনশাআল্লাহ জনগণ আগামী নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়ে আরো একবার ক্ষমতায় বসাবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।মানুষ কীভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান (বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান) দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং কোকোর (বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে) পাচার করা প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ খাবার ছাড়া থাকবে না।”
তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, “আমাদের ভোট চোর বলার সাহস কোথায় পেলেন?” তিনি বলেন, “তারেক জিয়া ভোট চোর, তার মা (খালেদা জিয়া)ও; আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে; আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতাকে দখল বা চুরি করেনি।” ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিয়েছিলো এবং কত ভোট পড়েছিলো সে বিষয়ে বিএনপি নেতাদের ফিরে দেখতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আমরা জনগণকে সচেতন করেছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের জয় সুষ্ঠু হয়েছে তা নিয়ে কারো কিছু বলার নেই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছে? ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং একটি উপনির্বাচনে ১টি, মোট ৩০ টি আসন জিতেছে। আর বাকি আসন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?”
ওদিকে নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে সরকার আবার ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অথবা ২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেই নির্বাচন নিয়ে আবার সেই আগের খেলায় মেতে উঠেছে তারা।”