অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নারাণগঞ্জে ৪ খুন: হাইকোর্টে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস ১১ জন


বাংলাদেশ হাইকোর্ট
বাংলাদেশ হাইকোর্ট

বিশ বছর আগে, ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ জনের মধ্যে, দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া, ১১ জনকে খালাস এবং সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি তিন জন মারা যাওয়ায়, তাদের আপিল বাতিল করে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬ মে) ২৩ ব্যক্তির ডেথ রেফারেন্স, আপিল এবং জেল আপিলের ওপর রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দণ্ডিতদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন; জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন; ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন; জহিরুল হক ভূইয়া ওরফে জহির মেম্বার ও আব্দুল আহাদ। ২৩ জনের মধ্যে মারা গেছেন, আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, মো. ফারুক, মো. খোকন, মো. ডালিম, মো. রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিনকে।

এছাড়া খালাস পাওয়া ১১ জন হলেন; সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, সাহাব উদ্দিন, মো. হালিম, ইয়াকুব আলী, মো. আমির হোসেন, মো. আবুল কালাম, মো. রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।

জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ সকালে আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আড়াইহাজার উপজেলা চাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আব্দুর বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক এবং কবির হোসেনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত বারেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান অভিযুক্ত উল্লেখ করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগে যোগ দেন এ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আবুল বাশার।

এ মামলার বিচার শেষে, ২০১৭ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুন নাহার ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স যায় হাইকোর্টেঅ আর দণ্ডিত ব্যক্তিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

XS
SM
MD
LG