বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত হামলায় ২ জন সৈনিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন সেনাকর্মকর্তা। আহত দুই সেনাকর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বুধবার (১৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত দুই সৈনিক হলেন—মো. আলতাফ আহম্মদ ও মো. তোহিদ। তারা বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের সৈনিক।
আহত দুই সেনাকর্মকর্তা হলেন-ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহম্মদ শওকত এবং মেজর মনোয়ার। তারাও সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের অফিসার।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানের উদ্দেশে যাত্রা করে।
টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখোমুখি হয়।
এতে দুজন সেনা কর্মকর্তা ও দুজন সৈনিক আহত হয়। পরে আহত সেনাসদস্যদের হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মৃত্যুবরণ করেন এবং আহত দুই কর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে, ১৩ মার্চ বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং দুই সৈন্য আহত হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
