অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে জি-সেভেন


জাপানের হিরোশিমায় গ্রুপ অফ সেভেনের বৈঠকের আগে পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করায় অ্যাটমিক বম্ব ডোমের পাশে নদীতে টহল দিচ্ছে পুলিশ ,১৭ মে ২০২৩।
জাপানের হিরোশিমায় গ্রুপ অফ সেভেনের বৈঠকের আগে পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করায় অ্যাটমিক বম্ব ডোমের পাশে নদীতে টহল দিচ্ছে পুলিশ ,১৭ মে ২০২৩।

সাত জাতিগোষ্ঠী বা গ্রুপ অফ সেভেনের সদস্য ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলো, এই বছরের জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। আর, তাদেরকে এড়িয়ে যারা রাশিয়াকে সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, ইউক্রেনে যুদ্ধে অর্থায়নে মস্কোর ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করা।

সংবাদদাতাদের ব্রিফিং কালে বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই গ্রুপটি জাপানের হিরোশিমাতে অনুষ্ঠেয় এই বছরের বৈঠকে আরো শত শত নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধ ঘোষণা করবে। প্রথা অনুসারে প্রশাসনের এই কর্মকর্তার নাম জানানো হয়নি।

এই কর্মকর্তা বলেন, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলোর আওতায় থাকছে ৭০টি রুশ ও তৃতীয় কোনো দেশের প্রতিষ্ঠান, যেগুলো মস্কোর প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত।এই নিষেধাজ্ঞাগুলো, এর আগের ৩০০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বিমান ও জাহাজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বাইরে। অন্য জি-সেভেন দেশগুলোও এ সপ্তাহে তাদের পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

এই কর্মকর্তা জানান, পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে; যুদ্ধের জন্য সরঞ্জাম এবং রসদ সংগ্রহ সংক্রান্ত রাশিয়ার সক্ষমতাকে আরো ব্যাহত করা; নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ফাঁকগুলো বন্ধ করার জন্য কাজ করা এবং রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতা হ্রাসের জন্য পদক্ষেপ নেয়া। এছাড়া, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য আরো প্রচেষ্টা চালাবে জি-সেভেন এবং রাশিয়ার একক মালিকানার সম্পদ জব্দ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবে।

"এই কর্মকর্তা বলেছেন, “মূল কথা হলো, আমরা রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করছি।” তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শীর্ষ সম্মেলনে জি সেভেন নেতাদের সাথে “যে কোনো ভাবে” যুক্ত হবেন।

জি সেভেন সদস্য দেশগুলো হলো; যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

XS
SM
MD
LG