অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চায় বাংলাদেশ


জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্পে সমর্থন করতে, জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত মিয়ানমার বিষয়ক নিরাপত্তা পরিষদের আররিয়া-ফর্মুলা বৈঠকে এ আহ্বান জানান। শুক্রবার (১৯ মে) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাজ্যের আহ্বানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সাম্প্রতিক সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে জানান যে উভয় পক্ষ একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে একদল যাচাইকৃত মিয়ানমারের নাগরিক প্রথম ব্যাচে তাদের দেশে ফিরে যাবে। প্রত্যাবাসন অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ৫ মে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা দেখতে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল রাখাইন রাজ্যে গিয়েছিলো। এই পাইলট প্রকল্পকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় তাদের পরিবারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে, বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।” রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান; যাতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবর্তনকারীরা আরো নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “রাখাইনে আস্থা সৃষ্টির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।”

এ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। আর, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

XS
SM
MD
LG