অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র গভীর বন্ধুত্ব মতভেদ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ দিয়েছে: প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে, যা মতভেদ নিয়ে খোলামেলা বিতর্ক করার সুযোগ দিয়েছে।”

মঙ্গলবার (৩০ মে) এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টস (ইএমকে)-তে আয়োজিত, 'রুটস অফ ফ্রেন্ডশিপ: ৫০ ইয়ারস অফ ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশন' শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “দুই দেশের মধ্যকার এই ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক, দুই দেশকে লাভবান হওয়ার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়।” তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বন্ধুদের কাছে অংশীদারিত্বের অনুসন্ধান করেছি এবং (ভবিষ্যতেও) তা চালিয়ে যাবো।”

প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা-কে সংকীর্ণ প্রিজম থেকে না দেখে, বরং উন্নয়নের জন্য তাদের বাস্তবসম্মত অনুসন্ধান হিসেবে দেখা হবে। শাহরিয়ার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বে আমরা একসঙ্গে কী করতে পারি; তার একটি প্রকৃত উদাহরণ কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করি।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হওয়ার আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জন করেছে। আর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা হয়েছে।”

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঐতিহাসিক ছবি দেখে আপনারা মুগ্ধ হবেন। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি রাষ্ট্রপ্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।”

তিনি বলেন, “প্রদর্শনীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বকারী সব বাংলাদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের ঐতিহাসিক ছবি প্রদর্শিত হয়, যখন তারা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। এই ছবিগুলো সুশাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা এবং একটি কার্যকর গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বোঝায়।”

রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “আমি সুশাসন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।”

XS
SM
MD
LG