অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তান থেকে মেধা পাচার বন্ধের আহ্বান জানালো তালিবান


ফাইল ছবি- তালিবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান (২৪ জানুয়ারি, ২০২২)। তালিবান পশ্চিমা দেশগুলোকে শিক্ষিত ও দক্ষ আফগানদের বিদেশে সরিয়ে নেওয়া ও পুনর্বাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ফাইল ছবি- তালিবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান (২৪ জানুয়ারি, ২০২২)। তালিবান পশ্চিমা দেশগুলোকে শিক্ষিত ও দক্ষ আফগানদের বিদেশে সরিয়ে নেওয়া ও পুনর্বাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

তালিবান পশ্চিমা দেশগুলোকে শিক্ষিত ও দক্ষ আফগানদের বিদেশে সরিয়ে নেওয়া ও পুনর্বাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে এর ফলে দেশের ক্ষতি হচ্ছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে উন্নত নিরাপত্তা নিয়ে গর্ব করে তালিবান নেতারা বলছেন, পূর্ববর্তী আফগান সরকারের হয়ে যারা কাজ করেছেন তারা সহ সব আফগান বাড়িতে নিরাপদে আছেন। তারা এখানে অবাধে বসবাস ও কাজ করতে পারবেন।

তালিবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি মঙ্গলবার বলেন, “তাদের জীবন এখানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এই ধারণায় আফগানদের জন্য (অভিবাসন) মামলা খোলা উচিত নয় । বিশ্বের এই বার্তাও শোনা উচিত।“

তিনি আরও বলেন, “তাদের আফগানিস্তানের প্রতিভা, বৈজ্ঞানিক ক্যাডার এবং আফগানিস্তানের গর্বকে আঘাত করা উচিত নয়। সেই সাথে তাদের এই দেশ থেকে বের করে নেওয়াও উচিত হবে না।“

তালিবান নিপীড়নের ভয়ে গত দুই বছরে,হাজার হাজার আফগান, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের অধীনে কাজ করেছিলেন, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো তালিবানের বিরুদ্ধে, সাবেক আফগান নিরাপত্তা কর্মীদের কিছু সদস্যকে বিচারবহির্ভূত আটক, নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অভিযোগ এনেছে, তালিবান সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ দেড় লাখেরও বেশি আফগান শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

গত সপ্তাহে তালিবানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খায়রুল্লাহ খাইরখোয়া অভিযোগ করেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকরা অভিবাসনের আবেদনের জন্য বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকেরও বেশি প্রভাষক, প্রায় ৪০০ ব্যক্তি মূলত নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ, তালিবানের বিধিনিষেধ এবং অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করা হয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের মতে, শত শত মিডিয়া পেশাদারও আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন। যার ফলে দেশটিতে মুক্ত গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ধাক্কা লেগেছে।

XS
SM
MD
LG