বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত এক ব্যক্তিকে ৭ বছর পর গ্রেপ্তারর করেছে পুলিশ।শনিবার (৩ জুন) পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. খাইরুল ইসলাম কালু, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বলেন, “শুক্রবার (২ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকা থেকে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তিনি জানান, “মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন কালু। ছদ্মবেশ নিয়ে কালু সাত বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছিলেন। চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় একটি ভবনে দারোয়ানের চাকরি করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন পুলিশের তৎকালীন এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায়, স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে সে নিজেই যুক্ত বলে প্রমান পায় পিবিআই। মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান অভিযুক্ত উল্লেখ করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। সেদিন এই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। তখন থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।