অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মহামারীর প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে: সংসদে শেখ হাসিনা


সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বর্তমান অস্থির বিশ্ব পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আফসারুল আমিনের প্রতি উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় এ কথা বলেন সংসদ নেতা। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “...পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।” তিনি বলেন, “খাদ্য ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয় এবং বিদ্যুতের সংকট বিশ্বে সবার জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।”

সংসদ নেতা বলেন, “সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের সংকট চলছে। এখন কেনা খুব কঠিন। কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার কাতার ও ওমান-এর সঙ্গে জ্বালানি ক্রয়ের চুক্তি করেছে; জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে; যাতে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে পারি।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাওয়ায় স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি তেলের সংকট চলছে; যার জন্য শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে।”

শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, “ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে। আছে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার। খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও অনেক মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমি জানি না আগে কখনো এমন হয়েছে কিনা। সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।” শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারছে না। তবে, আমাদের দেশের জনগণের জন্য আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছি।”

তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।”

XS
SM
MD
LG