ভারতে ওড়িশার বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তভার মঙ্গলবার ৬ জুন হাতে নিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার, ২ জুন সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বালেশ্বরের বহানাগা স্টেশনের কাছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মালগাড়ি ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও কামরা একে ওপরের সঙ্গে জট পাকিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর ১২০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই এখনও আশঙ্কাজনক।
কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে ঘটনার পরপরই রেলওয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তারা গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। তারমধ্যেই রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানান, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে।
তারপরই সোমবার তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮, ৩০৪এ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে সিবিআই।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই রেলের কাছে। রেল এই ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে, সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও রেলমন্ত্রী আগে দাবি করেছিলেন, ইন্টারলকিংয়ের সমস্যার কারণেই অঘটন ঘটেছে। এখন দেখার সিবিআই তদন্ত করে কী জানায়।
এদিকে, মঙ্গলবারই ফের ওড়িশায় যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে কটক ও পরে ভুবনেশ্বরে হাসপাতালে দেখতে যান পশ্চিমবঙ্গের আহত যাত্রীদের। সেখানে তাঁকে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, "নো কমেন্টস। আমি চাই সত্যটা বেরিয়ে আসুক।" উল্লেখ্য, তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জ্ঞানেশ্বরী ও সাঁইথিয়া রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেইসময় তিনিও ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়েছিলেন।