অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের গুজরাত উপকূলে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আছড়ে পড়ল সাইক্লোন বিপর্যয়


ভারতের গুজরাত উপকূলে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আছড়ে পড়ল সাইক্লোন বিপর্যয়
ভারতের গুজরাত উপকূলে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আছড়ে পড়ল সাইক্লোন বিপর্যয়

ভারতের গুজরাত উপকূলে সাইক্লোন বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানাল ভারতের মৌসম ভবন। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গেল বিপর্যয়ের।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে গুজরাত উপকূলে। আইএমডি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি এখনও স্থলভাগ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সমুদ্র পেরিয়ে স্থলভাগে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

বিপর্যয়কে এখনও পর্যন্ত ক্যাটেগরি-৩ এর অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়ে ফেলা হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ‘আই’ অর্থাৎ চোখ ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত বলে জানিয়েছেন আইএমডি প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার। তবে যত রাত বাড়বে এবং বিপর্যয় স্থলভাগের দিকে যত এগিয়ে আসবে ততই তার বেগ বাড়বে বলে জানিয়েছেন আইএমডি প্রধান। আবহাওয়া দফতরের তরফে বেশ কয়েকটি জেলায় লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যজুড়েই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ল্যান্ডফল-এর আগে উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ২০টি গ্রামের প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল, রাজ্য সড়ক ও বিল্ডিং বিভাগের ১১৫টি দল এবং বিদ্যুৎ দফতরের ৩৯৭টি দলকে উপকূল এলাকার বিভিন্ন জেলাগুলিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এনডিআরএফ-এর মোট ৪৫ হাজার কর্মীকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। এনডিআরএফ-এর ডিজি অতুল কারওয়াল জানিয়েছেন, রাজস্থানের দক্ষিণ অংশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী স্থানীয় জনগণকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। মৎস্যজীবীদের আগামীকাল পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, জাহাজগুলিতে নোঙর দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পশ্চিম রেলের ৭৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির বৃহস্পতিবার ১৫ জুন পর্যন্ত ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG