অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ


ঢাকা টেস্টর দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টর দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে করেছিল ৩৬২ রান। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দ্বিতীয় দিন সকালে ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারালে ৩৮২ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের। এরপর সফররত আফগানিস্তানকে তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দিন শেষে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১৩৪ রান যোগ করে ৩৭০ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করছে।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করে অপরাজিত আছেন। জাকির হাসানও ফিফটি করেছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে দুই ব্যাটারই ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন।

তবে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ঘন্টায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে তারা মোট মাত্র ২০ রান যোগ করে।

অবশ্য ফিল্ডিংয়ে নেমে তারা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সক্ষম হয় এবং এবাদত হোসেনের ৪টি উইকেট শিকারের সুবাদে আফগানিস্তানকে ১৪৬ রানেই গুঁড়িয়ে দেয়।

বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম, স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। মিরাজ ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে সাকিব আল হাসান ও তাইজুলকে অনুসরণ করে ১৫০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি প্রধানত বোলারদের ছিল। তারা ৩০০ রানের বিনিময়ে ১৬ উইকেট নিয়েছেন। বেশির ভাগ আউটের কৃতিত্ব পেসারদের।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের শেষ ৫ উইকেটের মধ্যে নিজাত মাসুদ ৩টি নিয়ে অভিষেকে তাঁর প্রথম ৫ উইকেট লাভ করেন।

আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসে প্রথম উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আক্রমণের সূচনা করেন শরিফুল। তিনি এবং এবাদত প্রথম ৪ উইকেটের মধ্যে ২টি করে ভাগ করে নেন। পরে আরও ২টি উইকেট নেন এবাদত।

স্বাগতিকেরা কার্যকরভাবে নতুন বলকে কাজে লাগায় এবং পিচ থেকে বাউন্স বের করে। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের প্রথম সাফল্যের পর বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে থাকে।

আফগানিস্তানের পক্ষে, আফসার জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। আর একমাত্র ব্যাটসম্যান নাসির জামাল ৩০ রানের স্কোর অতিক্রম করেন।

বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথমে মাহমুদুল হাসান জয়কে ১৭ রানে হারিয়েছিল। জয় প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত ও জাকির ১১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। যা টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থানকে মজবুত করে।

আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট, সফরকারীদের জন্য ম্যাচে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন।

এদিকে খেলা শেষে এবাদত উইকেট নেওয়া নিয়ে তাঁর আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “এটা দুর্দান্ত ছিল যে আমরা এমন একটি পিচ পেয়েছি। … এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের যে এমন একটি পিচ আছে যেটা পেসারদের পক্ষে যায়। আমরা শুধু এটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম”।

XS
SM
MD
LG