বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।” বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হিলটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে।”
চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কারচুপি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আগামী নির্বাচন বজনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিএনপি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করতে, শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “যেহেতু বিএনপি এটা ভালো করে জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।” তিনি বলেন, “জনগণ তাদের আর চায় না এবং সে কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে ভোট পায় না।”
সরকার পতনের জন্য বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার অত দুর্বল নয়।” নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”