অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দিনাজপুর হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০ জন


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। (ফাইল ছবি)
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। (ফাইল ছবি)

ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, বাংলাদেশর দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ১২ পর্যন্ত দফায় দফায় ৪ ঘন্টা ধরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে সিট বরাদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার কর্তৃত্ব নিয়ে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় জড়িয়ে রয়েছে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, সিট বাণিজ্য-সহ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল গ্রুপের সঙ্গে আলমগীর হোসেন আকাশ গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলছে।

এরই জের ধরে, শনিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের বাকবিতণ্ডা হয়। একা পেয়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেয়। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় রাত ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে জিয়া হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

অন্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শেখ রাসেল হলে, শেখ রাসেল কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামনের আসনে বসেছিলো ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আলমগীর হোসেন আকাশ এবং তার অনুসারীরা। আকাশ এই হলের নুর হোসেন অংশের আবাসিক ছাত্র।

এরপর, অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন অপর অংশের নেতা শেখ রাসেল, একই হলের বর্ধিত ভবনের আবাসিক ছাত্র রিয়াদ খান এবং সফিকুল ইসলাম সজলসহ তাদের অনুসারীরা। এসময় উভয়ের মধ্যে কথাকাটিকাটি হয়। এ নিয়ে পরদিন রিয়াদ ও সজলদের গালিগালাজ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন শোয়াইব নামে আকাশের এক অনুসারী। এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম জানান, “ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষ শুরু হয়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে, তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।”

XS
SM
MD
LG