অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলের মহাসম্মেলনে ‘মণিপুর প্রস্তাব’ নেওয়ার জল্পনা


ভারতের পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলের মহাসম্মেলনে ‘মণিপুর প্রস্তাব’ নেওয়ার জল্পনা
ভারতের পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলের মহাসম্মেলনে ‘মণিপুর প্রস্তাব’ নেওয়ার জল্পনা

উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতি দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের অস্থিরতা নিয়ে শুক্রবার ২৩ জুন বিহারের পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকে সর্বসম্মত প্রস্তাব নেওয়া হবে কী নেওয়া হবে, সেখানে বিরোধী দলগুলি সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবেন কী না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সংবাদ সূত্রের মতে, সেই সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের ব্যর্থতার জন্য মোদী সরকারকে আরও সমালোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-রাহুল গান্ধীরা।

গত প্রায় ৫০ দিন ধরে অশান্ত মণিপুর। সেখানে জাতি দাঙ্গার আগুনে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘর ছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষ। দেশের উত্তর-পূর্বে এই অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেননি। তাঁর এই মৌনতা নিয়ে যখন বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন তখন একপ্রকার বাধ্য হয়ে ২৪ জুন সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহস্পতিবার ২২ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই সর্বদল বৈঠকের ফাঁদে পা দিতে নারাজ। তৃণমূলনেত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, "মণিপুর নিয়ে আমি গত এক মাস ধরে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। ওখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। এখন হঠাৎ করে বলছে, সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমি যেতে পারব না, তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন যাবেন।"

কংগ্রেস আবার আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এই সর্বদল বৈঠক অর্থহীন। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও মুখ খোলেননি। তাঁর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তিন দিন মণিপুরে গিয়ে ছিলেন। তিনি শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ফেইল করা মন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকের কোনও অর্থ নেই।"

তাৎপর্যপূর্ণ হল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার মণিপুর নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন, তেমনই কংগ্রেসও তা করছে। প্রধানমন্ত্রী এখন বিদেশ সফরে রয়েছেন। তার মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী মণিপুর নিয়ে ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে শান্তি ফেরানোর জন্য আবেদন করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী।

এখন রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের বিষয় হল, শুক্রবার পাটনা বৈঠকে বিরোধীরা সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করবে কী না। এ ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “সংবিধানকে বাঁচাতে সব দল এক সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটাই ইতিবাচক। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে একটা তারিখ রয়েছে, একটা ঠিকানাও রয়েছে, যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের (পড়ুন বিরোধী দলের) নেতারা যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। এই বৈঠকে পরের বৈঠকের দিনও স্থির হবে। তা বাদ দিয়ে এখনই কোনও কল্পনা বা জল্পনা করা ঠিক হবে না।” অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছেন, "মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব গৃহীত হলে তা পাটলিপুত্রেই আলোচনার মাধ্যমেই স্থির হবে। তবে মণিপুর আলোচনায় যে থাকবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।"

XS
SM
MD
LG