কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে বিগত বছরের মতো এ বছরও ঈদুল আজহার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন ঈদগাহে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার আগেই ঈদগাহ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
এ বছরের এই ঈদের জামাত নিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো।
প্রথা অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে গান স্যালুট দেওয়া হয়। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ দিন শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ও শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নামাজের টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল।
মুসল্লিদের সহায়তার জন্য বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে দায়িত্ব পালন করে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতি বছর ঈদের দিন চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে ৬টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ২টি ফায়ারফাইটিং ইউনিট নিয়োজিত ছিল।
শোলাকিয়া ঈদগাহটি নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জের হয়বতনগরের সাবেক দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে ওয়াকফ দলিলের মাধ্যমে ৪ দশমিক ৩৫ একর জমি দান করেছিলেন এবং বর্তমানে ঈদগাহটির আয়তন সাত একর।
প্রতি ঈদেই শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মানুষ প্রার্থনা করে এবং শান্তি ও সুখের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চায়।