অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তান স্বল্পমেয়াদী ৩০০ কোটি ডলারের বেইলআউট ঋণের জন্য আইএমএফ-এর অনুমোদন পেয়েছে


ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদর দপ্তর ভবন। ৮ এপ্রিল, ২০১৯। ফাইল ছবি।
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদর দপ্তর ভবন। ৮ এপ্রিল, ২০১৯। ফাইল ছবি।

পাকিস্তান তার অর্থপরিশোধের স্বল্পমেয়াদী তীব্র ভারসাম্য সংকট মোকাবিলা করতে এবং সম্ভাব্য ঋণ খেলাপি এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে।

শুক্রবার উভয় পক্ষই চুক্তিটি ঘোষণা করেছে। তারা বলেছে, “স্ট্যান্ড-বাই-এরেঞ্জমেন্ট” বা এসবিএ, নয় মাসব্যাপী বিস্তৃত। এটি আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জুনের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে যা ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন। এটি আইএমএফ-নির্দেশিত তিন মাসের কভারের বিপরীতে দেশটিতে মাত্র কয়েক সপ্তাহের আমদানি ক্রয়ের জন্য যথেষ্ট।

আইএমএফ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, নতুন তহবিল কর্মসূচি সাম্প্রতিক বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ বিপত্তি থেকে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য দেশের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।

৩০০ কোটি ডলারের ঋণ পাকিস্তানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে সম্মত হওয়া ৬৫০ কোটি ডলার বেইলআউট প্যাকেজ থেকে অবশিষ্ট ২৫০ কোটি ডলার অবমুক্ত করার জন্য ইসলামাবাদ কয়েক মাস ধরে বৈশ্বিক এই ঋণদাতার সাথে আলোচনা করছিল, যার মেয়াদ শুক্রবার শেষ হয়েছে।

সমালোচকরা বলেছেন, আইএমএফের সাথে নয় মাসের চুক্তির কারণে পাকিস্তান একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এই বসন্তে হতে যাওয়া নির্বাচন মোকাবিলা করতে পারবে; এটি ঋণ খেলাফির ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং পরবর্তী সরকারকে ঋণদাতার সাথে নতুন একটি ঋণ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম করবে।

১৯৫০-এর দশক থেকে পাকিস্তান প্রায় ২৪ বার আইএমএফ বেইলআউট পেয়েছে, দেশটিকে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী ঋণদাতার সর্ববৃহৎ গ্রাহকদের মধ্যে একটি করে তুলেছে।

XS
SM
MD
LG