বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায়, সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলের ট্যাংকারে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল বহনকারী সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে গত শনিবার প্রথম দফা অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত ও চারজন আহত ন। ট্যাংকারের এক কর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজ থেকে ৭ লাখ লিটার ডিজেল সরানো হয় এবং বিস্তির্ণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হয়। সোমবারের বিস্ফোরণের পর, কিছু পেট্রোল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার বাসিন্দারা এর বিরূপ প্রভাব এবং নিজেদের সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যার পর অপর জাহাজ সাগর নন্দিনী-৪, ক্ষতিগ্রস্থ ট্যাংকার থেকে অবশিষ্ট ৪ লাখ লিটার পেট্রোল খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন আগুনের সূত্রপাত হয়। বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার লাগলে, সাগর নন্দিনী-৪ এর কর্মীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ সারাদিন উদ্ধার অভিযান শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিলো। এ ঘটনায় পুলিশ-সহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম।
আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং বরিশাল থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ডলফিন’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগের ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
