বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা সম্পর্কে দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিইআরটি) নির্দেশনা মেনে না চলায় এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।”
রবিবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ইউএনডিপি বাংলাদেশ অফিস এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “এটি হ্যাকিংয়ের ফলাফল নয়; বরং সিস্টেমের দুর্বলতা।
উচ্চ প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপের ওপর গুরুত্ব প্রদানকারী আমেরিকার অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম টেকক্রাঞ্চ, গত ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-সহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করেছে।টেকক্রাঞ্চ বলেছে, তারা প্রভাবিত ওয়েবসাইটে একটি পাবলিক সার্চ টুল দিয়ে একটি অংশ ব্যবহার করে ফাঁস হওয়া তথ্য ‘বৈধ’ ছিলো বলে যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “ডেটা সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই আইনের লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অন্তর্ভুক্ত করা এবং ডেটা’র অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।”
২৯টি সংবেদনশীল তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই)-এর সুরক্ষা ও তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিইআরটি (কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম) দল গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।তিনি বলেন, “এই দলগুলো আইসিটি বিভাগে নিয়োজিত সিইআরটি’র নির্দেশনায় কাজ করবে।”
তথ্য সুরক্ষায় সচেতনতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ওপর জোর দেন তিনি। পলক বলেন, “একটি নিরাপদ সাইবার বিশ্ব বজায় রাখার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আর, এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো; ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও জনগণকে অগ্রাধিকার দেয়া।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “যেহেতু কোনো দেশ একা এটি অর্জন করতে পারে না, তাই জাতীয় সাইবারস্পেস সুরক্ষিত করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।”
