অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার—জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি


বাংলাদেশের বন্দর

বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং মোট ৭২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ সময়ে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।

২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে। যা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য এবং ৯ বিলিয়ন মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করা হয়েছিল এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬৭ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ঘোষণার আগে টিপু মুনশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে শিল্প–কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা টিপু মুনশিকে বলেন।

নতুন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার সময় টিপু মুনশি বলেন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনা করা হয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিবেচনা করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্যসহ বাংলাদেশের কিছু সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়াও, বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন থেকে শিল্প স্থানান্তর করছে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, ভিয়েতনামেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

XS
SM
MD
LG